খুব ছোট আর ছিমছাম শহর রাঙামাটি। এখানকার বেশিরভাগ মানুষই উপজাতি। দেশের সবচে উপজাতি চাকমাদের বাস এই শহরে। চাকমা ছাড়াও টিপরা, মারমা, লুসাই, কুকি, মগ ইত্যাদি উপজাতিদের বাসও এখানে। পাহাড়ি জীবনে অভ্যস্থ আর ভীষণ পরিশ্রমী মানুষগুলো কিন্তু বেশ অতিথি পরায়ণ। পাহাড়ি আদিবাসীদের শহর রাঙামাটির অপরুপ সৌন্দর্য্য অবলোকন করতে চাইলে আপনাকে অবশ্যই একবার হলেও ওখান থেকে ঘুরে আসতে হবে। ইট পাথরের শহর আর যান্ত্রিক জীবনের একঘেইয়েমি থেকে মুক্তি পেতে বেড়িয়ে আসতে পারেন এই ছোট্ট শহর থেকে!!
রাঙামাটি শহরের দর্শনীয় স্থান গুলির মধ্যে-
শুভলং ঝর্ণা- রাঙামাটি থেকে ২৫ কিলোমিটার দূরে বরকল উপজেলায় এই ঝর্ণার অবস্থান। এখানে বেশ কিছু ছোট ছোট ঝর্ণা রয়েছে। সবচে বড় ঝর্ণাটিতে প্রায় ৩০০ ফুট উপর থেকে পানির প্রবাহ বিদ্যমান। বিগত কয়েক বছরে এটিও খুব বিখ্যাত স্পট হিসেবে পরিচিতি পেয়েছে।
কাপ্তাই জাতীয় উদ্যান- কর্ণফুলি নদি আর কাপ্তাই রেঞ্জের পাশেই এই উদ্যানটির অবস্থান। এখানে রয়েছে বিভিন্ন প্রজাতির হরিণ, হাতি, বানর, বিভিন্ন প্রজাতির পাখি সহ নানা রকম প্রাণী। এইখানে বেশকয়টি পিকনিক স্পটসহ কিছু রেস্ট হাউস রয়েছে। সরকারী হিসেব মতে প্রতি বছর ৫০০০০ লোক এই উদ্যানটি ঘুরতে আসেন।
পিডা টিং টিং: রাঙামাটি থেকে কয়েক কিলোমিটার দূরে কাপ্তাই লেকের মধ্যে অবস্থিত ছোট্ট দ্বীপ এটি। এই জায়গাটি সবচে বিখ্যাত তার প্রাকৃতিক দৃশ্যের জন্য। এইখানে একটা ছোট রিসোর্ট ছাড়াও স্থানীয় লোকজন দ্বারা পরিচালিত রেস্টুরেন্ট রয়েছে। একসাথে ঘুরাও হয় আবার ঘুরতে গিয়ে স্থানীয় খাবারের স্বাদ নেয়া যায়।
ঝুলন্ত সেতু- সাধারণত রাঙামাটি গিয়ে এই সেতুটি না দেখে কেউ ফেরত আসেন না। কাপ্তাই লেকের একাংশে ৩৩৫ ফুট লম্বা এই সেতুটি পর্যটকদের কাছে সবচেয়ে আকর্ষনীয় স্পট। আপনিও চাইলেই ঘুরে আসতে পারেন।
No comments:
Post a Comment